মানে হলো, সে এমন এক মানসিক ভাইরাসে ধরেছে—যা মানুষকে স্বার্থপর করে তোলে, ভুল আর মিথ্যার মধ্যে ডুবিয়ে রাখে। সে ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়।
তারপর অফিস থেকে তাকে পাঠানো হয় একটা গ্রামে—পাটালিয়া। সেই গ্রামে গিয়ে দেখে, পুরো গ্রামের মানুষ অদ্ভুত এক ধরনের গুঁড়া (পাউডার) খায়, যার ফলে তারা বদমেজাজি, অসুস্থ আর নিজের ঠিক ভুল চিনতে পারে না। সেই পাউডারেই তারা যেন একরকম নেশায় থাকে, মানবিকতা সব হারিয়ে ফেলেছে।
এদিকে আফজাল একটা ভুল করে বসে—এক ছেলেকে মেরে ফেলে। তখন সে আর তার সহকারী মিজান—এই ঘটনাটা ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লাগে। তারা ফেসবুকে একটা মিথ্যা ভিডিও বানিয়ে বলে, ওই ছেলেটাই নাকি পাগল ছিল! এইভাবে তারা নিজের দোষ ঢাকতে চায়।
এই সময় আসে আরেক চরিত্র—মিস্টার গ্রিন। লোকটা একজন ইনফ্লুয়েন্সার, মানে লোকজন তাকে ফলো করে। সে আসলে টাকা আর সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য মানুষের সাথে খেলে। সে আফজালের মিথ্যার উপর ভরসা করে ঘটনাটা আরও ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে প্রচার করে।
এরপর গল্পে আসে নীরঞ্জন—একজন বৃদ্ধ, যিনি নিজের জীবনেই অনেক অন্যায় সহ্য করেছেন। তিনি আফজালকে বোঝাতে থাকেন—এই যে মিথ্যা, এই যে স্বার্থপরতা—এই সবই একটা ভাইরাস। যা সমাজে ছড়ায়, একজন থেকে আরেকজনের মাঝে গিয়ে লাগে। এটা কোনো জ্বর না, এটা হলো বিবেকের রোগ।
শেষদিকে আফজালের মধ্যে পরিবর্তন আসে। সে বুঝতে পারে সে যা করেছে তা ভুল। তাই সে মিস্টার গ্রিনকে ধরে ফেলে এবং Facebook Live-এ সব সত্যি বলে দেয়। বলে, সে নিজেই মিথ্যা বলেছে, আর এই সমাজে ভাইরাস ছড়িয়েছে।
গ্রিনও ভেঙে পড়ে। সবাই ভাবে—এই ভাইরাস কি থেমে গেল?
না বন্ধুরা, গল্পটা বলে—এই ভাইরাস কাউকে ছাড়ে না। তুমি যদি নীরব থাকো, অন্যায়ের পাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকো, তাহলে তুমিও এই ভাইরাসে ধরবে। কিন্তু কেউ যদি নিজের ভুল স্বীকার করে, সত্যি কথা বলে, মানুষকে সাহায্য করে—তাহলে সে ভাইরাস থেকে মুক্ত হতে পারে।