IMDb rating ➤ 7.9/10
Directors ➤ Shahi Kabir
Stars ➤ Arun Cherukavil, Sudhi Koppa, Krisha Kurup, Lakshmi Menon Etc.
Genres ➤ Drama
Language ➤ Hindi Dubbed
Country ➤ India
রাত গভীর। শহরটা নিস্তব্ধ, আলো-আঁধারির খেলায় ঢাকা। একটা পুরনো পুলিশভ্যান ঢুকছে শহরের ভেতর দিয়ে, গতি ধীর, বাতাস ভারী। ভ্যানে বসে আছে দুইজন পুলিশ—একজন বয়স্ক, ক্লান্ত, অভিজ্ঞ—নাম ইউহান্নান, আরেকজন তরুণ, সদ্য যোগ দেওয়া, চোখে অনেক স্বপ্ন—তার নাম দিনানাথ।
দিনানাথ জীবনে প্রথমবার রাতের ডিউটিতে, তার ভেতরে কেমন যেন উত্তেজনা, আবার ভয়ও। ইউহান্নান একেবারে চুপচাপ, মুখে কোনো ভাব নেই, যেন বহুবার এই রাতের সাক্ষী সে। প্রথমে তারা এক মাতাল ড্রাইভারকে ধরে, পরে এক দম্পতির ঝগড়ার মীমাংসা করতে যায়, তারপর এক জায়গায় এক মা কান্না করে বলে তার ছেলে রাতে বাড়ি ফেরেনি—সব ছোটখাটো ঘটনা, কিন্তু এসবের ভেতরেই যেন শহরের অবহেলা, ক্লান্তি আর অসহায়ত্ব লুকিয়ে আছে। ইউহান্নান চুপ করে দেখে, আর দিনানাথ সবকিছু খুব সিরিয়াসলি নেয়। সে ভাবে—এই শহরকে কীভাবে বদলানো যায়?
দিনানাথ জীবনে প্রথমবার রাতের ডিউটিতে, তার ভেতরে কেমন যেন উত্তেজনা, আবার ভয়ও। ইউহান্নান একেবারে চুপচাপ, মুখে কোনো ভাব নেই, যেন বহুবার এই রাতের সাক্ষী সে। প্রথমে তারা এক মাতাল ড্রাইভারকে ধরে, পরে এক দম্পতির ঝগড়ার মীমাংসা করতে যায়, তারপর এক জায়গায় এক মা কান্না করে বলে তার ছেলে রাতে বাড়ি ফেরেনি—সব ছোটখাটো ঘটনা, কিন্তু এসবের ভেতরেই যেন শহরের অবহেলা, ক্লান্তি আর অসহায়ত্ব লুকিয়ে আছে। ইউহান্নান চুপ করে দেখে, আর দিনানাথ সবকিছু খুব সিরিয়াসলি নেয়। সে ভাবে—এই শহরকে কীভাবে বদলানো যায়?
এভাবে চলতে চলতে একটা বড় খবর আসে—এক বড়লোক বাড়ির মেয়ে নিখোঁজ। অভিযোগ গিয়ে পড়ে এক গরিব, দলিত ছেলের ঘাড়ে। মেয়েটা আর ছেলেটার সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছিল, তাই সন্দেহটা সোজা তার দিকে যায়। ইউহান্নান কোনো দ্বিধা না করে ছেলেটাকে ধরে আনে, মারধোরও করে। ছেলেটা বারবার বলে, “আমি কিছু করিনি স্যার,” কিন্তু ওর জাত-পরিচয়ের চেয়ে বড় সত্য আর কিছুই যেন কেউ শুনতে চায় না। দিনানাথ দেখে, তার আদর্শ আর বাস্তবের মাঝখানে অনেক ফারাক। ইউহান্নান বলে, “এইসব জায়গায় যুক্তি চলে না, এখানে কাজ চলে অভিজ্ঞতায়।”
তারপর তারা যায় এক হাসপাতালে, যেখানে পড়ে আছে এক মানসিক রোগী, আর এক জায়গায় লাশও দেখতে হয়। দিনানাথ এই সব দৃশ্যে ভয় পায়, বুক ধড়ফড় করে ওঠে, কিন্তু ইউহান্নান বরাবরের মতো নির্লিপ্ত। দিনানাথ বুঝে যায়, পুলিশ হওয়া মানে শুধু ইউনিফর্ম না, এটা এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ—যেখানে নিজের ভিতরের অনুভূতিগুলা মেরে ফেলতে হয়। রাত বাড়ে, শহর আরও ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ জানা যায়, সেই নিখোঁজ মেয়ে আসলে কাউকে না জানিয়ে পালিয়েছিল, আর যাকে ধরে এনে পেটানো হয়েছে, সে নির্দোষ। দিনানাথ আর নিজেকে ধরে রাখতে পারে না। ও ভাবে, এই তো আমাদের বিচার ব্যবস্থা—দলিত হলে দোষী, বড়লোক হলে নিস্তার। ইউহান্নান শুধু বলে, “এটাই বাস্তব। কে দোষী সেটা মুশকিল না, মুশকিল হচ্ছে কে আগে ধরা পড়ে।”
রাত শেষে, তারা এক ফাঁকা রাস্তায় বসে থাকে। মাথার ওপরে আকাশ, বুকের ভেতরে ক্লান্তি। দিনানাথ চুপ করে আকাশ দেখে, ভাবে—এই চাকরি কি ওর জন্য? ইউহান্নান জানে, ও বদলাবে না, বদলাবে না এই সিস্টেমও। তবুও চাকরি চালিয়ে যেতে হবে, যতদিন শরীরে শক্তি আছে। এই এক রাতেই দিনানাথ বুঝে ফেলে, সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায় সবকিছুর মাঝখানে একটা ধোঁয়াশা জায়গা থাকে, যেটার নাম বাস্তবতা। আর সেই বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে যারা দাঁড়িয়ে থাকে, তারাই হয় ইউহান্নান।