এর মধ্যে তার প্রেমিকার পরিবার সোজা জানিয়ে দেয়,
"ঢাকায় আসার পর দুই মাসের মধ্যে যদি কিছু করে দেখাতে না পারিস, তাহলে এই সম্পর্ক নিয়ে আর আশা না রাখাই ভালো!"
এত কিছু মাথায় নিয়ে, চিন্তায় কাবু হয়ে যখন স্বাধীন দিশেহারা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তখন হঠাৎ একটা ভুল বোঝাবুঝির মধ্যে পড়ে যায় সে—একদম অদ্ভুত একটা ঘটনায়।
ঢাকার এক কোণে তখন দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করছে মিখাইল—এক ভয়ংকর অপরাধী, নাম শুনলেই মানুষ আঁতকে ওঠে। গ্যাংস্টার, রাজনীতির সঙ্গে যোগসাজশ, পুলিশ-প্রশাসনও তাকে সামলাতে ভয় পায়।
একদিন হুট করে সে একটা বড় টিভি চ্যানেল দখল করে নেয়!
তারপর সেখান থেকে লাইভে এসে শুরু করে হুমকি—রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে, ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে বার্তা দেওয়া শুরু করে।
গোল বাধে তখন, যখন মিখাইল তার এসব কাজের জন্য ছদ্মনাম হিসেবে "স্বাধীন" নামটা ব্যবহার করতে শুরু করে।
ফলে যা হওয়ার তাই হয়—পুলিশ, মিডিয়া, সবাই ধরে নেয় গ্রামের সেই বেকার ছেলেটাই আসলে দেশের আতঙ্ক!
অসহায় স্বাধীন তখন নিজের পরিচয় প্রমাণ করতে করতেই জড়িয়ে পড়ে এক ভয়ংকর খেলায়—রাজনীতির চালচিত্র, মিডিয়ার ধোঁকা আর রাষ্ট্রযন্ত্রের ভুল সিদ্ধান্তে।
কিন্তু গল্পটা এখানেই থেমে থাকে না।
জীবন যখন একেবারে কোণঠাসা করে ফেলে, তখনই স্বাধীন ধীরে ধীরে প্রতিবাদ করতে শেখে। ভয় পায় না আর।
মুখ খুলে দাঁড়িয়ে যায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
যে ছেলে একদিন চাকরি খুঁজছিলো, সে-ই এক সময় হয়ে ওঠে সত্য আর ন্যায়ের প্রতীক।
শেষ দৃশ্যে আমরা দেখি—স্বাধীন শুধু একটা নাম না, এটা একটা আন্দোলন, একটা বার্তা—ভুলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস।