Durgeshgorer Guptodhon & Karnasubarner Guptodhon (22-23) || দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন এবং কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন (২০১৯-২০২২) || Hoichoi Original Movies

IMDb rating ➤ 6.0/10
Directors ➤ Dhrubo Banerjee
Stars ➤ Abir Chatterjee, shaa Saha, Rajatabha Dutt, Saurav Das Ect.
Genres ➤ Adventure, Mystery, Thriller
Language ➤ Bangla
Country ➤ India
Platform ➤ Hoichoi
দুর্গেশগড়ের গুপ্তধনঃ

সোনা দা (অর্থাৎ সুবর্ণসেন, একজন ইতিহাসের অধ্যাপক), তার ভাইপো আবির, আর আবিরের প্রেমিকা জয়িতা—তারা তিনজন আবার এক নতুন অভিযানে বের হয়। আগেরবার যেমন গুপ্তধনের খোঁজে বেরিয়েছিল, এবারও তেমনই এক রহস্যময় ধনসম্পদের সন্ধান তাদের টেনে নিয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গের এক পুরোনো জমিদারবাড়ি দুর্গেশগড়ে।

জয়িতার এক আত্মীয়ের বিয়েতে সবাই গিয়েছিল দুর্গেশগড়। কিন্তু সেখানে গিয়েই সোনা দার কৌতূহল বেড়ে যায়—কারণ, জমিদার বাড়িটার মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক পুরোনো ঐতিহাসিক জিনিসপত্র, আর সেইসাথে লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় গুপ্তধনের ইতিহাস।

সোনা দা বুঝতে পারে, বিয়ের ছাতার আড়ালে হয়তো একটা বড় ধনের রহস্য লুকিয়ে আছে। শুরু হয় ধাপে ধাপে ধাঁধার সমাধান—প্রতিটা ধাঁধা ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে, যেমন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, এবং বাংলার গৌরবময় অতীত। সবকিছু মিলিয়ে ধনটা যেন শুধুই টাকার নয়—বাংলার সংস্কৃতি আর ইতিহাসের একটা মহামূল্যবান অংশ।

এই অভিযানে সোনা দা, আবির আর জয়িতা নানা চ্যালেঞ্জে পড়ে—কখনো লুকিয়ে চাবি খোঁজা, কখনো গুপ্ত ঘরে ঢোকা, আবার কখনো রহস্যজনক পুরোনো চিঠি বিশ্লেষণ করা। তাদের পথ সহজ ছিল না—কিছু লোক ছিল যারা চায় এই ধন নিজের করে নিতে, তাই সোনা দাদের জন্য বিপদও ছিল।

শেষে ধাঁধার সূত্র ধরে, সাহস, বুদ্ধি আর ইতিহাসের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সোনা দা খুঁজে পায় সেই গুপ্তধনের ঠিকানা, কিন্তু সে সেই ধন নিজের কাছে না রেখে সরকারের হাতে তুলে দেয়, যাতে তা বাংলার গৌরব হিসেবে সংরক্ষিত থাকে।


কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধনঃ

সোনাদা, মানে সুবর্ণ সেন – ইতিহাসের অধ্যাপক, কিন্তু সে শুধু বইয়ের পাতা ঘেঁটে থাকেনা। ধাঁধা, গুপ্তধন আর পুরোনো ইতিহাসের রহস্য তাকে খুব টানে। তার সঙ্গে আছে দুই প্রিয় সঙ্গী – আবির আর ঝিনুক। হঠাৎ একদিন সোনাদার হাতে আসে একটা পুরোনো মানচিত্র আর ধাঁধার মতো কিছু লেখা। জানা যায়, এই সব কিছু জড়িয়ে আছে বাংলার এক বিখ্যাত প্রাচীন রাজা – 
রাজা শশাঙ্ক আর তার গুপ্তধনের সঙ্গে।

সোনাদা বুঝে যায়, এটা সাধারণ কিছু না। এ যে একেবারে ইতিহাসের সোনার খনি! তিনজন মিলে রওনা হয় সেই গুপ্তধনের সন্ধানে। জায়গাটার নাম কর্ণসুবর্ণ – এক সময়ের রাজ্যের রাজধানী। ওরা খুঁজতে খুঁজতে পৌঁছে যায় নানা জায়গায় – পুরনো দুর্গ, ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দির, অদ্ভুত চিহ্ন আর সংকেতের ভেতর দিয়ে। প্রতিটি ধাপে একেকটা ধাঁধা – আর সেই ধাঁধা মেলালেই খুলছে গুপ্তধনের নতুন ইঙ্গিত।

কিন্তু ব্যাপার এত সহজ কই! তাদের পেছনে লেগে আছে কিছু ভয়ানক লোক – কেউ চাইছে ওই গুপ্তধন নিজের করে নিতে, কেউ আবার চাইছে সোনাদাদের থামিয়ে দিতে। বিশেষ করে ভুজঙ্গ নামের এক গুন্ডা আর ড্যাশানান নামে এক মাথাগরম অপরাধী – এরা কিছুতেই ছেড়ে কথা বলবে না।

তবে সোনাদা শুধু বইপাগল না, তার মাথা ঠান্ডা, বুদ্ধি তীক্ষ্ণ। একেকটা ধাঁধা সে এমন ভাবে ভাঙে, যেন সে চোখের সামনে সব দেখতে পাচ্ছে। ঝিনুক আর আবিরও সাহস দিয়ে সবসময় পাশে থাকে। অনেক চোরাগলি, গোপন দরজা আর টানটান উত্তেজনার পর তারা অবশেষে খুঁজে পায় সেই গুপ্তধনের ঠিকানা – যা শুধুই সোনা বা রত্ন না, বরং এক বিশাল ঐতিহাসিক মূল্যবান জিনিস। একরকমভাবে, এটা বাংলার অতীতের গর্ব – রাজা শশাঙ্ক নিজের হাতে গড়া ইতিহাসের স্মারক।

সবশেষে, সোনাদা সেই গুপ্তধনকে নিজের কাছে না রেখে তুলে দেয় সঠিক জায়গায়, যাতে সবাই জানতে পারে বাংলার হারানো ইতিহাস, আর দেশের গৌরবের একটা বড় অংশ ফিরে আসে।

⚠️ দুঃখিত! আপনি AdBlock ব্যবহার করছেন। অনুগ্রহ করে এটি বন্ধ করুন এবং পৃষ্ঠাটি পুনরায় লোড করুন।