
কিন্তু হঠাৎ একদিন সব বদলে যায়। গ্রামের একপ্রান্তের ঘন জঙ্গলে পাওয়া যায় এক বিকৃত মৃতদেহ। শরীর ছিন্নভিন্ন, আর সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার—মাথাটা লাশের সঙ্গে নেই! বিধান দল নিয়ে জঙ্গল থেকে লাশটি উদ্ধার করে যখন ফিরছেন, তখন বুঝতে পারেন—এটা আর কোনো সাধারণ মামলার মতো নয়।
ওসি অদ্রিশ ঘোষ বিধানকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন—যদি দ্রুত মাথাটা উদ্ধার না হয়, তবে তাকে সাসপেন্ড করতে হবে! একদিকে কাজের এত চাপ, অন্যদিকে বিধানের স্ত্রী বৃষ্টি অন্তঃসত্ত্বা, যে কোনো সময় সন্তান জন্ম দিতে পারেন। পেশার দায়িত্ব আর পরিবারের উদ্বেগ একসাথে বিধানের মনে অদ্ভুত এক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে।
তদন্ত যত এগোয়, রহস্য তত জটিল হয়। অবশেষে সত্যটা সামনে আসে—এই খুনের পেছনে কেউ আর নয়, বিধানের সবচেয়ে কাছের আর বিশ্বস্ত সহকর্মী!
সেই মুহূর্ত থেকেই শুরু হয় বিধানের এক কঠিন মানসিক লড়াই। একদিকে ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি, অন্যদিকে বিশ্বাসঘাতকতার বেদনাদায়ক বাস্তবতা। নিজের দায়িত্ব আর মানুষের প্রতি সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে বিধান দাঁড়িয়ে থাকে এক ভাঙা সংকটের মুখে।
"বালাগড়ের জঙ্গল রহস্য" শুধু একটি খুনের গল্প নয়—এটি আমাদের সামনে তুলে ধরে বিশ্বাসের ভঙ্গুরতা এবং মানুষের মনের অজানা মুখোশ। এই সিরিজটি আপনি নিশ্চিন্তে চোখ বন্ধ করে উপভোগ করতে পারেন।